বগুড়ার আদমদীঘিতে ধর্ষণ মামলা করায় গৃহবধূকে মাথা ন্যাড়া করে নির্যাতনের পর গ্রাম ঘুরিয়েছে তার স্বামী।
খবর পেয়ে পুলিশ গৃহবধূকে উদ্ধার করে তার স্বামী রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর আদালতে প্রেরণ করেছে। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কোমারপুর শিয়ালগাড়ি পাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ইসলাম ওই গ্রামের এবারত আলীর ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিত গৃহবধূ গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলামের পঞ্চম স্ত্রী। দেড় বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। রফিকুল ইসলামও নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর তৃতীয় স্বামী। গত ৬ এপ্রিল রাতে নির্যাতনের শিকার গৃহবধূ একই গ্রামের দুলু ফকির ও হান্নান ফকির নামের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে গতকালই জেল হাজতে প্রেরণ করে।
এরপর শুক্রবার বেলা ১১টায় রফিকুল ইসলাম বাড়ির মেইন দরজা বন্ধ করে ওই গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতন করে মাথার চুল কেটে ন্যাড়া করে গ্রামে ঘোরায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গৃহবধূকে উদ্ধার ও তার স্বামী রফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। গৃহবধূর স্বামী রফিকুল ইসলাম ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্ত্রী তার কথা শোনেননি। মামলার পর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকাবাসীর বিভিন্ন কটু কথায় অপমান এবং ক্ষোভ থেকে তিনি এ ঘটনা ঘটান।
আদমদীঘি থানার ওসি জালাল উদ্দীন মামলা দায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ঘটনায় ঐ গৃহবধূ তার স্বামী রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। রফিকুল ইসলামকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।